12 June 2016

আরও নতুন দুইটি বিভাগ আসছে, বাড়বে আসন সংখ্যা ও

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) উন্নয়নে বড় আকারের প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। এর আওতায় দুইটি নতুন বিভাগ ও দুইটি ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে গাজীপুরের এ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। পাশাপাশি অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে আরও নতুন চারটি বিভাগের। এসবে ব্যয় হবে ২৭৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পের আওতায় ইনস্টিটিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড এনভাইরমেন্টাল সায়েন্স ও ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি এবং ডিপার্টমেন্ট অব রিনিউয়েবল এনার্জি ও কেমিক্যাল ও ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ চালু হবে। এসব বিভাগ ও ইনস্টিটিউট চালু হলে প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৩০০ শিক্ষার্থী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তি হতে পারবে। আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জ্ঞান শিক্ষা এবং গবেষণার ক্ষেত্রে দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন জনশক্তি গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া শিল্প খাতে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে ৫০০ শিক্ষার্থীর গবেষণা উন্নয়নের সুবিধা সৃষ্টি করা হবে প্রকল্পের আওতায়। আবাসনের সুবিধা সৃষ্টি করা হবে ৯০০ ছাত্র ও ৩০০ ছাত্রীর। ৪৮ কর্মকর্তাও পাবেন আবাসিক সুবিধা। পুরনো ক্যাম্পাসের পাশে নতুন একটি ভিন্ন ক্যাম্পাস সৃষ্টি করা হবে প্রকল্পের আওতায়। ইউজিসি সূত্র জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু প্রকল্পের এ কাজ শেষ করা হবে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রকল্পটির প্রস্তাব আজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে।
প্রকল্পটির প্রস্তাবনায় ইউজিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশের উন্নয়নে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি থাকা অপরিহার্য। সরকারি ও বেসরকারি খাতে স্থাপিত সাধারণ, প্রকৌশল এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারীর সংখ্যা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট নয়। এ অবস্থায় ১৯৮৬ সালে ঢাকায় বাংলাদশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে এ প্রতিষ্ঠানটি বিশ্ব¦বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। প্রকল্পের বিষয়ে মত দিতে পরিকল্পনা কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় দেশের মানব সম্পদ উন্নয়নকে আর্থসামাজিক উন্নয়নের চালিকা শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।
২০২০ সালের মধ্যে উচ্চশিক্ষার হার ২০ দশমিক ৬০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। এ সময়ের মধ্যে শিক্ষা জিডিপিতে শিক্ষা খাতের অবদান আড়াই শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য রয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে লক্ষ্য পূরণ অনেক সহজ হবে। ইউজিসির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে কর্তৃপক্ষের বিধিনিষেধ রয়েছে। তাই নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলছি, দেশের উন্নয়নে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি থাকা আবশ্যক। তাই ডুয়েট উন্নয়নে বড় আকারের প্রকল্প নেয়া হয়েছে।

তথ্যসূত্র : আলোকিত বাংলাদেশ

1 comment: